শরীফ মাহমুদ, সরাইল থেকে ফিরে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা শাখার জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) মূল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও সরাইল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব হতে সরাইল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাজমুল আলম (মুন্না) ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইসমাইল মিয়া (উজ্জল) দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন বলে অভিযো করেছেন উপজেলা যুবদলের তৃর্ণমুলের নেতাকর্মীরা।
এসব বিষয়ে সরাইল উপজেলা বিএনপির ও সরাইল উপজেলা যুবদলের তৃর্ণমূলের একাধিক নেতাকর্মীদের মাঁঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সরাইল উপজেলা যুবদলের একাধিক নেতাদের দাবী, দলের পরিক্ষিত নেতাদের দিয়ে সরাইল উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন করা হউক।
উপজেলা যুবদলের মাঠ পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মুন্না আর উজ্জল এই দুই‘জন দীর্ঘদিন যাবত সরাইল উপজেলা বিএনপির কার্যকরী কমিটির পৃথক দুই‘টি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। সাংগঠনিকভাবেও দলীয় কার্যক্রমে তারা নিস্কিয় বলে অভিযোগ করেন নেতাকর্মীরা। উপজেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পরও যুবদলের কমিটিতে কেন তারা আসতে চাচ্ছেন। এদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হলে‘ সরাইলে যুবদলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্য হবে বলেও জানান তৃর্ণমুলের নেতাকর্মীরা।
সরাইল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাজমুল আলম (মুন্না) ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইসমাইল মিয়া (উজ্জল) কে সরাইল উপজেলা যুবদলের কমিটিতে পদ না দেওয়ার জন্য, কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দগণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। পাশাপাশি সরাইল উপজেলা যুবদলের ত্যাগী ও দলের পরিক্ষিত নেতাদের দিয়ে সরাইল উপজেলা যুবদলের একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের দাবী জানান তারা।
এদিকে কোন প্রকার লিখিত পদত্যাগপত্র ছাড়া বিএনপির অঙ্গ-সংঘঠনের একাধিক কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে আসা বিএনপির দলীয় গঠনতন্ত্রে লংঙ্গন বলেও যুবদলের তৃণমূলের নেতারা দাবী করেন।
এসব বিষয় জানতে সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুর রহমানের সাথে একাধিকবার তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply